দিনাজপুরে কুয়াশার দাপটে সূর্য উধাও হয়ে গেছে। ১০ জানুয়ারি থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো জেলা। সকাল ১০টা পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঘন কুয়াশায় নওগাঁয় ইরি-বোরো বীজতলা লাল বর্ণ ধারণসহ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। শীতে লোকজন ঘর থেকে কম বের হওয়ায় আয় অর্ধেকে নেমেছে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের। এর ফলে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। কৃষি শ্রমিকরা কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো চাষাবাদ। ইরি-বোরো চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, ঘন কুয়াশা দীর্ঘায়িত হলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ইরি বীজ কিনে রোপণ করতে হবে।
এ অবস্থায় দিনে বীজতলা ঢেকে রাখা, সন্ধ্যার পর পানিতে ডুবিয়ে রাখা এবং এসব বীজতলায় ইউরিয়া, পটাশ সার ছিটানোর পরামর্শ দেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খলিলুর রহমান। আলু ও সরিয়াক্ষেতে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসারে কীটনাশক স্প্রে, আলুক্ষেতে পানি দেওয়ারও পরামর্শ দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা শহরে মানুষের উপস্থিতি কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছেন না। তবে পেটের তাগিদে দিনমজুর শ্রেণির মানুষকে কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে আসতে হয়েছে। রিকশা-ভ্যানচালকরা আশানুরূপ যাত্রী পাননি।
চার দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় লালমনিরহাটে তীব্র শীতে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও লোকালয়। সেইসঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।