ভারতের কেরালায় ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি উদযাপিত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক থিয়েটার স্কুল নাট্য উৎসব (আইএফটিএস) ২০২৪। এ উৎসবটির আয়োজক কেরালার ত্রিশুরে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস (এসডিএফএ)। সেখানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীনের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হবে বার্টোল্ট ব্রেখটের ‘দ্য মেজারস টেকেন’ থেকে অনূদিত ‘সিদ্ধান্ত’ নাটকটি।
ঢাবির মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ নাটকটিতে অভিনয় করবেন। ‘কার্নিভাল অব পেডাগোজি: থিয়েটার অ্যান্ড ইকোলজি’ শীর্ষক শিরোনামে—অর্থাৎ, থিয়েটার এবং বাস্তুশাস্ত্রের সংযোগস্থলে শিক্ষাবিদ্যা অন্বেষণ করার বিষয়টি এবারকার উৎসবের প্রতিপাদ্য।
স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগের ডিরেক্টর ড.অভিলাস পিল্লাই (এনএসডি অ্যালামনাই) এর আমন্ত্রণে ড. ইসরাফিল শাহীন কেরালায় অবস্থিত স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস-এর ডক্টর জন মাথাই সেন্টার, আরনাট্টুকারা, ত্রিশুরে ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুইদিনের কর্মশালা পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত থিয়েটার ব্যক্তিত্বদের সাথে আইএফটিএস-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে একটি উপস্থাপনাধর্মী আলোচনা সভাসহ আরও একটি এক্সটেনশন সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। ত্রিশুরের স্কুল অব ড্রামা অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগের শিক্ষার্থীগণ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দলগুলো এই সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
কেরালা থেকে ফেরার পথে ২৩ জানুয়ারি ড. ইসরাফিল শাহীন এবং তার দল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রসংগীত, নৃত্য এবং নাট্যকলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান শ্রী মোহন কুমারানের আমন্ত্রণে ‘সিদ্ধান্ত’ নাটকটি মঞ্চস্থ করবেন। এরপর ২৪ জানুয়ারি কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান ড. সান্তানু দাসের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রভারতীর বি. টি. রোড ক্যাম্পাসে ‘সিদ্ধান্ত’ নাটকটি পুনরায় মঞ্চস্থ হবে। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি কর্মশালাও পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের বহুমাত্রিক থিয়েটার ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন।অধ্যাপক জানান, ‘সিদ্ধান্ত’ বা ‘দ্য মেজারস টেকেন’ প্রকৃতপক্ষে কয়েকজন বিপ্লবীর এমন এক সঙ্কটাপন্ন পরিণতিকে নির্দেশ করে, যা এক তরুণ কমরেডের চলমান আবেগের সাথে কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্র্যাটেজিক বিপ্লবের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হয়ে ওঠে অতি সাংঘর্ষিক। আর পার্টি থেকে বিচ্যুত কিন্তু জনতার প্রতি মহাজাগতিক মমত্ববোধ সত্ত্বেও এই তরুণ কমরেডকে অন্যান্য কমরেডের সহযোগিতায় স্বেচ্ছা মৃত্যুর পরিণতি গুনতে হয়। প্রশ্ন উত্থাপিত হয়; এই মৃত্যু হত্যা নয়, আবার আত্মহত্যাও নয়, তবে কী?
সব উত্তর মিলবে ভারতের মঞ্চে।