লন্ডনে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয় ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার। বছরব্যাপী পারফরম্যান্সের বিচারে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। মূলত ফিফা তালিকাভুক্তি জাতীয় দলের অধিনায়ক-কোচ, গণমাধ্যম কর্মী এবং বিশ্বব্যাপী ভক্তদের ভোটে দেওয়ায় হয় এই পুরস্কার।
উয়েফা বর্ষসেরার ক্ষেত্রে মনোনয়ন পেলেও তাতে পুরস্কার পেয়েছিলেন আর্লিং হালান্ড। এবারও এমনটাই হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। এমনকি লিওলেন মেসি নিজেও। কিন্তু ট্রেবল জয়ী হলান্ডকে পেছনে ফেলে আরও একবার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলেন ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি।
টানা দ্বিতীয় এবং রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মজার বিষয় মেসি নিজেও উপস্থিত ছিলেন না অনুষ্ঠানে। এমনকি নিজের ভোটও নিজেকে দেননি এই তারকা।
তবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার শীর্ষে থাকার সুবাদে বর্ষসেরার পুরস্কার জেতেন মেসি। হলান্ডের সঙ্গে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে টাই হলেও, মেসি সর্বোচ্চ ১০৭ বার ৫ পয়েন্টের ভোট পেয়েছেন। যেখানে হলান্ড পেয়েছেন ৬৪ বার। এতেই সেরার পুরস্কার চলে যায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের হাতে।
অথচ, অধিনায়ক হিসেবে সেরার ভোট দিতে গিয়ে নিজেকেই ভোট দেননি মেসি। বরং প্রতিদ্বন্দ্বী হলান্ডকেই দিয়েছেন পাঁচ পয়েন্টের ভোট। এ কারণে হয়তো নিজেও কিছু অপ্রস্তুত ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ছিলেন না অনুষ্ঠানে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে ইন্টার মায়ামির হয়ে কোনো অনুশীলন মিস করতে চাননি মেসি। লন্ডনে গেলে মায়ামির হয়ে ৪টি অনুশীলন সেশন মিস করতেন তিনি। প্রাক-মৌসুমে মায়ামির হয়ে মাঠে নামার আগে এমন কিছু করতে চাননি তিনি।
তবে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনির প্রথম ভোট পয়েছেন মেসি। সেরার লড়াইয়ে তিনি ভোট দিয়েছেন মেসি, আলভারেজ ও এমবাপ্পেকে। এমনকি ব্রাজিলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার আগে নিজের ভোট দিয়েছিলেন ফার্নান্দো দিনিজ। তিনিও প্রথম ভোট দিয়েছে মেসিকেই। তার সেরা তিনে ছিলেন মেসি, কেভিন ডি ব্রুইনা এবং হলান্ড।
এই পুরস্কারের জন্য ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ফিফা দ্য বেস্ট—হিসেবে মেসির নাম ঘোষণার পর শুরু হয় বিতর্ক।
এর ব্যাখ্যায় ফিফা জানায় এবার পুরস্কারটি জিততে মেসির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বাকিদের। মেসি এবং হলান্ড দুজনেই সমান ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটাভুটিতে। কিন্তু মেসি জিতেছেন জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে প্রথম পছন্দের তালিকায় এগিয়ে থাকায়। ফিফার রুলস অব অ্যালোকেশন-এর ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই পুরস্কার জেতেন মেসি। এরপর নেটিজেনদের সমালোচনা চলছেই।