দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ আছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই চাপ মোকাবিলা করার সক্ষমতা সরকারের আছে বলেও মনে করেন তিনি।
রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোববার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের অর্থনীতিকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এগুলো অতিক্রম করতে হবে, এগুলোকে ভয় পেলে চলবে না।
ভোটের পর দেশি-বিদেশি কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না? আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, ‘দেশি-বিদেশি চাপ নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, চাপ বিদেশ থেকেও আছে। দেশে তো আছেই কিন্তু আমরা অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি, সামর্থ্য রাখি। আমরাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের সম্পর্ক মাটি আর মানুষের সঙ্গে।
অর্থনীতিকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে চাপ আসবে। আমাদের অর্থনীতিকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র আছে। এগুলো অতিক্রম করতে হবে, এগুলোকে ভয় পেলে চলবে না। সাহস রাখতে হবে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই চলতে হবে- এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সরকারের, যে দলের সম্পর্ক সেই দল কোনো বিদেশি চাপ বা দেশি চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না। আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। পথে পথে বাধা, পদে পদে বাধা—এটা আমরা অতিক্রম করেছি। আমরা অতিক্রম করেছি নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি। এখন নির্বাচন তো হয়েই গেছে। অনেকে ভেবেছে এই নির্বাচন আমরা করতে পারব না। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ আসবে আমরা জানি, সেগুলো মোকাবিলা করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।
দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে গ্রামীণ বাজারগুলো পর্যন্ত ভরপুর; খাদ্য সামগ্রী, ফল-মূল। আমাদের পার্বত্য এলাকায় রাস্তা হওয়ায় প্রচুর জিনিস বাজারে আসছে। দ্রব্যমূল্য দেখতে পাচ্ছেন, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। নিম্ন আয়, স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ কষ্ট লাঘব করা দরকার এবং এটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। এখন সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের চালাতে হবে। দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের সক্ষমতার মধ্যে থাকে।