সরকারের নবনিযুক্ত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় কৃষির মাধ্যমে। কৃষকদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন চিন্তা করা যায় না। কৃষকের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগ থেকেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। বাংলাদেশের যেসব মানুষ বেকার তাদের কৃষিতে কাজে লাগাব। পতিত পড়ে থাকা জমি চাষের আওতায় আনব। আমি উদ্যোগ নিয়ে কৃষি কাজে মানুষকে উৎসাহিত করব।’
মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিকে নিয়ে স্বপ্নের কথা তুলে ধরে আব্দুস শহীদ বলেন, ‘আমি নিজেই মাছ, ফল ও শাক সবজি চাষ করি। দেশের কৃষি খাতকে ঢেলে সাজাতে আন্তরিকভাবে কাজ করবো। মন্ত্রণালয়ের চলমান কাজ এবং আগের কাজগুলো তদারকি করে দেখব। কোথাও কোনো সংকট থাকলে সমাধানের চেষ্টা করব। মাঠ পর্যায়ে ও বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম কেমন চলছে তা জানাব। সবার সহায়তায় কৃষিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অনেকেই মাঠে যান না, অফিসে গালগল্প করে সময় কাটান। তারা যেন মাঠে যান, কৃষকদের সঙ্গে যেন তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করব। মানুষকে কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে উঠান বৈঠক-কর্মশালাসহ নানা কর্মসূচি নেব। মানুষ যেন নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেই সংসার চালাতে পারেন সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’
আব্দুস শহীদ ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা সাত বার মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারের হুইপ, সরকার ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত এবং অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন আব্দুস শহীদ। তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু অ্যাকাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি প্যানেল স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।