বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড.মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি অনলাইন ফোরামের উপদেষ্টা মনোনীত হলেন উম্মে ফারজানা ডায়না সুনামগঞ্জে বিজয় সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারের স্মৃতিচারণে শোকসভা অনুষ্ঠিত।  শান্তিগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা।  সাংবাদিকরা হলেন জাতির জাগ্রত বিবেক : এম এ মান্নান। নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হয়েছে এটি বুঝলেও সরাসরি স্বীকার করতে দ্বিধা যুক্তরাষ্ট্রের ! রাজনগর থানা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিড়ি জব্দ ছাতক উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান: যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী।  সামাজিক সংগঠন ট্রাস্টেড এর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শ্রীমঙ্গলে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত চায়ের রাজধানীতে ‘ভোরের চেতনা’ পত্রিকার প্রতিনিধি সম্মেলন ও মিলন মেলা

আবহাওয়াবিদরা জানালেন তীব্র শীতের কারণ

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

 

ইত্তেলাহ্ ডেস্কঃ

দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও তীব্র হয়েছে শীতের অনুভূতি। এর পেছনে কয়েকটি কারণের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, একদিকে রোদের দেখা নেই, পড়ছে ঘনকুয়াশা। অন্যদিকে কনকনে বাতাস বইছে। কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ায় সব প্রক্রিয়াই বিরাজ করছে দেশে। বিশেষ করে পশ্চিমা বাতাসে মাঘের কনকনে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কুয়াশা পরিস্থিতি আরও দু-তিন থাকতে পারে। এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ১৫ ডিগ্রিতে এলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। এখন কোথাও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে শীতের অনুভূতি এত হতো না।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। গতকালের চেয়ে আজ বাতাস কিছুটা কম আছে। তবে কুয়াশার কারণে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আরও দু-তিন দিন পর কুয়াশার তীব্রতা করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত বা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর ১৬ ও ১৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকতে পারে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে। এরপর ১৮ ও ১৯ তারিখের দিকে একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।’

জেবুন্নেছা বলেন, ‘এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম আছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুলনামূলক কিছু কিছু জায়গায় বেশিই আছে।’

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছে, ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে ৫ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে, টাঙ্গাইলে ৪ ডিগ্রির নিচে ও ফরিদপুরে ৩ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।

এ ছাড়া সিলেটে ৪ ডিগ্রির নিচে, রাজশাহীতে ৮ ডিগ্রির নিচে, রংপুরে ৬ ডিগ্রির নিচে, ময়মনসিংহে ৪ ডিগ্রির নিচে, খুলনা ও বরিশালে ৮ ডিগ্রির নিচে এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। শীতের অনুভূতি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি।

বর্তমানে পশ্চিমা বাতাসের গতিবেগও বেড়ে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে। বিরাজ করছে দুপুর পর্যন্ত, কোথায় কোথাও দিনভর ঘনকুয়াশা। তারপরও নেই সূর্যের উজ্জ্বল কিরণ।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এদিকে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

আগামী দু’দিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে পরদিনই ফের কমার আভাস রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

গোপনীয়তা নীতি স্বত্ব © ইত্তেলাহ্ লিমিটেড (২০২০-২০২৪)

themesba-lates1749691102