বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড.মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি অনলাইন ফোরামের উপদেষ্টা মনোনীত হলেন উম্মে ফারজানা ডায়না সুনামগঞ্জে বিজয় সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারের স্মৃতিচারণে শোকসভা অনুষ্ঠিত।  শান্তিগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা।  সাংবাদিকরা হলেন জাতির জাগ্রত বিবেক : এম এ মান্নান। নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হয়েছে এটি বুঝলেও সরাসরি স্বীকার করতে দ্বিধা যুক্তরাষ্ট্রের ! রাজনগর থানা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিড়ি জব্দ ছাতক উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান: যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী।  সামাজিক সংগঠন ট্রাস্টেড এর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শ্রীমঙ্গলে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত চায়ের রাজধানীতে ‘ভোরের চেতনা’ পত্রিকার প্রতিনিধি সম্মেলন ও মিলন মেলা

মাঘ মাসের শীত হার মানল কৃষকের কাছে

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

পৌষের শেষ দিক থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। মাঘের শুরু থেকেও ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত যে তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকেরা কাদা মাঠে নেমে ধান রোপণ করে চলেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৮৫০ হেক্টর জমি, যা থেকে ৯৪১৩১ টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছেন কৃষি অফিস। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৭৫০ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদন হয়েছিল ৯৫৭৭৯ টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষি অফিসের।

হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে কাদা মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন হার মানে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির ডুমুরতলা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন।

কৃষক লুৎফর মোল্লা বলেন, শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমরা এ সময়ে বসে থাকলে আমাদের পরিবার ও দেশের মানুষদের পেটে ভাত জুটবে কীভাবে। অন্য এক কৃষক রমজান আলী বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কী?

বেলা সাড়ে ১২টায় মহেশপুর হুদোড় মোড় এলাকায় মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মনির ও কাদের নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, পৌষের শেষ দিক থেকে শীত ও কুয়াশা পড়া শুরু হয়ে গেছে বিকেল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতেও টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে কদিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত। আর তারপরেই সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার,প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

 

সূত্রঃ কালবেলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

গোপনীয়তা নীতি স্বত্ব © ইত্তেলাহ্ লিমিটেড (২০২০-২০২৪)

themesba-lates1749691102