উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকা দেবে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে দলের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় চূড়ান্ত করা হবে। তবে ওয়ার্কিং কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকায় ডেকে এনে তা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিডিউল ঘোষণার পর দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৭ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এটাই ছিল দলটির প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক।
এদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বলেন, কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হতে পারে। এজন্য মার্চের শুরুতেই প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
অশোক কুমার বলেন, উপজেলার তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। কীভাবে করবে, ধাপে ধাপে নাকি একবারে করবে, এভাবে যদি সিদ্ধান্ত দেয়, ইসি সচিবালয় প্রস্তুত আছে। রোজা শুরু হওয়ার আগে হয়ত হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তা বলেন, এসএসসি পরীক্ষা, রোজাসহ সবকিছু বিবেচনা করব। আমাদের দেশে রোজায় নির্বাচন কম হওয়ার প্র্যাকটিস আছে। সেক্ষেত্রে হয়তো রোজার আগে হতে পারে, পরবর্তী ধাপ ঈদের পরে হতে পারে। প্রথম ধাপের ভোট হয়তো ঈদের আগে হতে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে সাড়ে চারশর বেশি উপজেলার সাধারণ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যেই এসব নির্বাচন করতে হবে। বাকিগুলোর কিছু হবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আর কিছু নির্বাচন হবে ২০২৭ ও ২০২৮ সালে।
আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রথম ধাপে শ খানেক উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে পারে। চার বা পাঁচ ধাপে ভোট শেষ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে জুনের মধ্যেই মেয়াদ শেষ হওয়া উপজেলাগুলোতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় ইসি।