পদ্মা-যমুনাবেষ্টিত পাবনা অঞ্চলে আবারো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস অব্যাহত তীব্র শীতের পর মাত্র সপ্তাহখানেক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আবার তাপমাত্রার পারদ নেমে গেছে অসহনীয় পর্যায়ে। শুক্রবার জেলার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্বেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ৮ দশমিক ২ ডিগ্রিতে নেমে আসে। এদিকে একটানা হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দিনের আকাশ পরিষ্কার থাকলেও হাড়কাঁপা শীতে জনজীবনে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রচণ্ড শীতের কারণে পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখনো বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হাসপাতালে কমপক্ষে ২৫০ জন রোগী ভর্তি হন এবং এখনো শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৪ শতাধিক শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শীতে পদ্মা-যমুনাবেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষের এবং নিম্নবিত্ত ও দিনমজুরদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্রমতে, এবার ডিসেম্বর মাস থেকেই এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। জানুয়ারি মাস থেকেই দেখা দেয় একটানা শৈত্যপ্রবাহ। অধিকাংশ সময়ে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছিল। প্রায় দুই মাস ধরে অব্যাহত তীব্র শীতের পর ৩১ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা একটু একটু করে বেড়ে যাচ্ছিল। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আবারো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ নামে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রিতে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, জানুয়ারির শুরু থেকেই তাপমাত্রা বেশি নামতে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২১ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২৩ জানুয়ারি ৮ ডিগ্রি, ২৪ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ২৬ জানুয়ারি ৯ ডিগ্রি, ২৭ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২৮ জানুয়ারি তাপমাত্রার পারদ নেমে আসে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে। ২৯ জানুয়ারিতে ৯ ডিগ্রি এবং ৩০ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এরপর ৩১ জানুয়ারি তাপমাত্রা একটু বেড়ে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে ওঠে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উন্নীত হয়ে আবার বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে তাপমাত্রার পারদ নিচে নামতে থাকে।