মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় অচল জনজীবন। শনিবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে শিশু ও বয়স্কদের বাইরে বের না হওয়াই ভালো বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) চিকিৎসক।
এর আগে শুক্রবার উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রাজশাহীতে হঠাৎ তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। সেদিন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
শনিবার আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দুপুর গড়িয়ে দেড়টার পর সূর্যের দেখা মেলে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়।
শনিবার রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শীতজনিত রোগে সকাল থেকে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। আর মেডিসিন ওয়ার্ডেও বৃদ্ধ ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বের না হওয়াই ভালো। তবে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বেশ বিপাকে। হিমেল বাতাস আর ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষের জীবনযাপন। শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেশি। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন থাকাবে।